প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে

আকাশপথে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম বড় চালানের পরিবহন শুরু

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) ছাড়পত্র পাওয়ার পর ফাইজার উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পরিবহন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই কাজটি করছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। খবর- ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফক্স নিউজ।

মার্কিন সাময়ীকি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার থেকে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন পরিবহন শুরু করেছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। আকাশপথে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম বড় চালানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দর থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড।

‘আকাশপথে ভ্যাকসিনের প্রথম বড় চালানের’ অংশ হিসেবে শিকাগোর ও’হেয়ার এয়ারপোর্ট থেকে ব্রাসেলস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্লেস্যান্ট প্রেইরি ও জার্মানির কার্লশ্রুর গুদামের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়েছে ফাইজার। কার্গো বিমান ও ট্রাকের ভেতরে স্যুটকেসের মতো হিমায়িত বক্সে করে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফাইজার কিংবা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স।

তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইউনাইটেডের পাশাপাশি অন্যান্য বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফাইজার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটিকে সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও কম তাপমাত্রায়।

গত সপ্তাহেই তাদের উৎপাদিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জন্য জরুরি অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল ফাইজার ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক।

তিন ধাপের ট্রায়ালে এটি ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর বলে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, এফডিএ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর ফাইজার দ্রুত ভ্যাকসিন পরিবহনের কাজ শুরু করেছে। তার পরপরই এই কাজে চার্টার্ড বিমান ব্যবহারের খবর সামনে এল।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close