খেলাধুলা
আইপিএলের শুরুতেই জুয়ারিদের উৎপাত, আটক ৯
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতি আসর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আয় হয়ে থাকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই অর্থের পরিমাণ পুরোটাই আসে বৈধ পথে। কিন্তু অবৈধ পথে ফিক্সিং বা জুয়ার মাধ্যমে পুরো ভারতের আরও হাজার হাজার মানুষ ঠিক কী পরিমাণ অর্থের লেনদেন করে থাকে- সেই তথ্য হয়তো খোদ বিসিসিআইয়ের কাছেও নেই।
ব্যতিক্রম নয় এবারের করোনা জর্জরিত আইপিএলও। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের আইপিএলের আসর সরিয়ে নেয়া হয়েছে আরব আমিয়াতে। তাতে কী? ভারতে বসেই চলছে রমরমা জুয়ার আসর। টুর্নামেন্টের বয়স এক সপ্তাহ হওয়ার আগেই জুয়ার এক সাম্রাজ্যই যেনো গড়ে তোলার হয়েছে কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার লালবাজার থানার অধীনে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে খোঁজ পাওয়া গেছে শক্তিশালী জুয়ারি চক্রের। এখনও পর্যন্ত তল্লাশিতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৯ জন জুয়ারি। তাদের জেরা করে আরও বড় চক্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে প্রাথমিক ধারণা লালবাজার গোয়েন্দা পুলিশের।
নিজেদের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, লালবাজার এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেল ও বাড়িতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। প্রথমে তারা হানা দেয় পার্ক স্ট্রিট এলাকায়, সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় জুয়ার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ।
পরে তাদের জেরা করে উত্তর কলকাতার বড়তলা, মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট, দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর থানা এলাকার বেশ কয়েকটি গেস্ট হাউস ও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জুয়ারিকে। তাদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন, ১৪টি ল্যাপটপ, তিনটি টিভি, একটি গাড়ি ও দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এখানেই থেমে যায়নি পুলিশ। পরে তল্লাশি চালানো হয় সল্টলেকের কয়েকটি জায়গায়ও। ভারতের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে কলকাতার এই জুয়ারি চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জুয়াড়িরা তাদের সুবিধার জন্য কয়েকটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করছে- এমন তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
/এন এইচ