আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
অ্যাম্বুলেন্সে শিশুর মৃত্যু-আদালতে আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে শিশুর মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হানিফ খান ও ইমরান হোসেন নামে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক মো. মনিরুজ্জমান সিকাদারের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্ধি দেয়। এদিকে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার (০১ ফেব্রয়ারি) রাতে নিহতের বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী নজরুলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হানিফ খান (৪০) টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার দোপাকান্দী গ্রামের আব্দুর রহমান খানের ছেলে ও মো.ইমরান (২৫) খুপিবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মণ্ডলের ছেলে । তারা দুজনই আশুলিয়ার বাইপাইলে বসবাস করে রেন্ট-এ কার কম্পানির প্রাইভেট কারের চালক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার কাইছাবাড়ি ও পলাশবাড়ি থেকে থেকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ।
ঢাকা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়া অ্যাম্বুলেন্সে শিশুর মৃত্যু ঘটনায় গ্রেফতার হানিফ ও ইমরান নামে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দিয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সামিউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার দুপুরে গ্রেফতার হানিফ ও ইমরাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তারা আজ শুক্রবার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধি দিয়েছে। অপর দিকে বুধবার সন্ধ্যায় (২ ফেব্রুয়ারি) সাভার সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ড থেকে মামলার প্রধান আসামী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বর্তমানে নজরুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় রিমান্ডে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও মাইক্রোবাসের চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা তৈরি হয়। পরে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স আটক করে এর চালককে মারধর করে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি নিয়ে যায় হাইয়েচ মাইক্রোবাসের চালক নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। এ সময় ছটফট করতে করতে অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরেই মারা যায় শিশু আফসানা।
/এন এইচ