আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

অ্যামাজনের সঙ্গে ওয়ালটনের চুক্তি সই

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মিলবে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের পণ্য। এজন্য ওয়ালটনের সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।

এর ফলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য অ্যামাজনের প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিক্রি হবে। এই চুক্তির ফলে সবধরনের ওয়ালটন পণ্য নিতে পারবে অ্যামাজন।

অবশ্য প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওয়ালটনের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এই চুক্তি সই হয়।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার পণ্য বিভাগের সিইও ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী এবং অ্যামাজন বিডির কান্ট্রি ম্যানেজার শশাঙ্ক পান্ডে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলমসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাচ্ছে। এটি শুধু ওয়ালটনের জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও ঐতিহাসিক দিন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক দিন। যারা বিশ্বের ডিজিটাল ইকোনমির নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।

তিনি বলেন, আমি ওয়ালনটনকে একটি প্রাইভেট কোম্পানি নয়, জাতীয় গর্ব বলে মনে করি। তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে তারা আমাদের সহযোগী।অ্যামাজন বিডির কান্ট্রি ম্যানেজার শশাঙ্ক পান্ডে বলেন, আজ অ্যামাজন, ওয়ালটন ও বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা আছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ওয়ালটন পণ্য অ্যামাজনের গ্লোবাল প্ল্যাটফরমে আসবে।

ওয়ালটনের আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, অ্যামাজনের সঙ্গে করা এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে আমাদের পণ্য উন্মুক্ত হচ্ছে। যা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটনের পথ সুগম করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close