দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
অ্যাপ দিয়ে নজরদারি, কোয়ারেন্টিন ভাঙ্গলেই ধরে ফেলবে পুলিশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ব্যবহার করবে মোবাইল অ্যাপ। অ্যাপটির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারবে কোয়ারেন্টিনে থাকা কেউ তার কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ করছেন কী না। এছাড়া কোয়ারেন্টিনে থাকাও ব্যক্তিও সময় পূর্ণ হচ্ছে কী না তার কাউন্টডাউন দেখতে পাবেন অ্যাপে।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সিএমপি এ অ্যাপ চালু করে। সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এ সেবা উদ্বোধন করেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য পেতে ‘Nirapad: Stay Home, Stay Safe’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ করছেন কী না তা জানা যাবে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের সময় কতদিন বাকি আছে তা জানা যাবে।
তিনি জানান, সিএমপির ১৬টি থানায় এই অ্যাপটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা নগরের ৪১ জন ব্যক্তিকে মনিটরিং করা হচ্ছে এই অ্যাপের মাধ্যমে।ইনোভেস টেকনোলজিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে এই অ্যাপ সেবা দিচ্ছে। সিএমপির পর তাদের কাছ থেকে এই অ্যাপটি ব্যবহার করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, ফেনী জেলা পুলিশসহ আরও কয়েকটি জেলা।
ইনোভেস টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, অ্যাপটি জিও ফেন্সিং টেকনোলজির মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের অবস্থান নিশ্চিত করবে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রতিনিয়ত এর তথ্য যাবে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি নির্ধারিত সীমানার বাইরে গেলে ওই ব্যক্তিকে সতর্ক করবে অ্যাপটি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার নিয়ন্ত্রণকক্ষ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেও চলে যাবে এ তথ্য।
তিনি বলেন, যাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা প্রয়োজন পুলিশ তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ইনস্টল করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগিন করে দিবে। ওই ব্যক্তি যদি অ্যাপটি থেকে লগআউট করেন বা আনইনস্টল করেন সেই তথ্য চলে যাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।
তবে অ্যাপটির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যদি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি বাসায় রেখে বাইরে যান সেক্ষেত্রে তা জানতে পারবে না নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।এ বিষয়ে মো. মুনিরুল আলম বলেন, অ্যাপের মাধ্যমে শতভাগ নজরদারি করা যাবে তা নয়। যদি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি বাসায় রেখে বাইরে যান সেক্ষেত্রে তা জানতে পারবে না নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারির চেয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দিতে হবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে।
অ্যাপটিতে আরও কিছু জরুরি সেবার ফিচার সংযুক্ত করার কাজ চলছে বলে জানান ইনোভেস টেকনোলজিসের কর্মকর্তা মো. মুনিরুল আলম।তিনি জানান, গুগল অ্যাপ থেকে এই অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের মাধ্যমে শুধু হোম কোয়ারেন্টিন যাদের প্রয়োজন তারাই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।
/এন এইচ