প্রধান শিরোনামব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
অর্থ পাচারকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত: হাইকোর্ট
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলায় ৫ বছরেও কোনোটির অভিযোগপত্র না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে, তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও মামলায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে না দুদক। সে কারণে বিচারও শেষ হচ্ছে না। এ সময় বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলায় দুদক এখনও কেনো অভিযোগপত্র দেয়নি এ প্রশ্ন করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত বলেন, অর্থ পাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত, এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি অর্থ পাচারের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ তথ্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে পেশ করতে নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।