জীবন-যাপন

অভিমান নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিষ্টি একটি শব্দ ‘অভিমান’। অভিমানের নেই কোনো সঠিক বয়স। এমনকি অনেক সময় নির্দিষ্ট কোনো কারণও লাগে না। কিন্তু একটু একটু করে অভিমানের মেঘ জমতে জমতে কখনো তা ঝড় হয়ে উঠতে পারে! অতিরিক্ত অভিমান অনেক সময় বিপরীত মানুষটির জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আপনার জীবনযাপনেও। আবেগ, ভালোবাসা যেমন সত্যি, তেমনই সত্যি অভিমানও। অভিমান থাকবেই, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

তাকে বুঝুন: যার প্রতি অভিমান হচ্ছে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার অভিমান তার জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে কি না তাও ভেবে দেখুন। হয়তো তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় সময় পার করছেন। দিনশেষে যখন আপনার দুটি মধুর কথা, একটু ভালোবাসা তার প্রয়োজন, সেই সময়টিতেই আপনি গাল ফুলিয়ে আছেন! নিজের ক্লান্তি দূর না করে তিনি লেগে গেলেন আপনার অভিমান ভাঙাতে। এমন চলতে থাকলে কিন্তু সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসতে পারে। কারণ অভিমান অল্পস্বল্প হলে তা সুন্দর, লাগাতার হতেই থাকলে কুৎসিত।

সঠিক কারণ খুঁজে বের করুন: যখনই অভিমানে মন ভার হয়ে যাবে, একটু সময় নিন। ভেবে দেখুন এই অভিমানের কারণ কী? অভিমান না করেও এর সমাধান করা যায় কি না? অভিমানের কারণ যতটুকু তার থেকে অভিমানের পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো? এসব নিয়ে ভাবতে গেলে দেখবেন তেমন শক্তপোক্ত কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন নিজ মনেই হেসে ফেলবেন আর অভিমানও আপনাআপনি গলতে শুরু করবে।

ব্যস্ত থাকুন: অন্যের কাছ থেকে সময় পাওয়ার আশায় বসে থাকার চেয়ে নিজেই বরং ব্যস্ত হয়ে যান। যখন আপনি কোনো না কোনো কাজের মধ্যে থাকবেন, অলস ভাবনাগুলো আর মাথায় চেপে বসার সুযোগ পাবে না। তাই সেই কাজটিই করুন যেটি আপনার করতে ভালো লাগে। নিজের কাজ নিয়ে খুশি থাকলে অভিমানও দূরে দূরেই থাকবে, কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না।

প্রত্যাশা কম রাখুন: মানুষ তার অভাবের সমান দুখী। যার প্রত্যাশা যত বেশি, তার অভাবও তত বেশি। তাই প্রত্যাশা কম রাখুন যাতে কোনোকিছু না পেলেও অভিমান বা মন খারাপ না হয়। কী পেলাম- এই ভাবনা থেকে বের হয়ে এসে কী দিলাম- এটি ভাবতে পারেন। তাহলে আর অভিমান হবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close