শিক্ষা-সাহিত্য
অভিভাবককে মারধর করলেন প্রধান শিক্ষক!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রংপুরের পীরগাছায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই অভিভাবক বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফলগাছা গ্রামের নিতাই চন্দ্র শীলের মেয়ে গীতা রানী ২০১৪ সালে পীরগাছার কান্দি ইউনিয়নের তেয়ানী মনিরাম দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। সম্প্রতি গীতার শিক্ষাসনদের জন্য নিতাই চন্দ্র ১০ নভেম্বর বিদ্যালয়ে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষক মাহবুর রহমান তাকে পরে আসতে বলেন। পরে নিতাই চন্দ্র কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলেও তিনি সনদ না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ওই অভিভাবক আবারও ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে সনদ আনতে গেলে বিদ্যালয়ের পাশের একটি দোকানে তার (মাহবুর) দেখা পান। এ সময় সনদ চাইলে প্রধান শিক্ষক এক হাজার টাকা দাবি করেন এবং বারবার বিরক্ত করার কারণ জানতে চান। একে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ওই অভিভাবককে প্রকাশ্যে কিল–ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে দোকানের অন্য লোকজন এসে অভিভাবককে রক্ষা করেন।
জানতে চাইলে নিতাই চন্দ্র শীল গণমাধ্যমে বলেন, আমার মেয়ের এসএসসির সনদ ওখানে জমা আছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা আমাকে না দিয়ে কয়েক দিন ঘোরানোর পর আমার কাছে এক হাজার টাকা চেয়েছিলেন। বারবার তার কাছে সনদের জন্য যাওয়ায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমাকে লাথি ও কিল–ঘুষি মারেন। উপস্থিত সবাই এটা দেখেছেন। আমি ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি কোনো অভিভাবককে মারিনি। সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। সনদটি অফিসের ফাইলপত্রের ভেতরে থাকায় খুঁজে বের করতে দেরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পীরগাছার ইউএনও জেসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি কার্যালয়ের বাইরে আছি, এখনো অভিযোগটি দেখিনি। অবশ্যই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।