বিনোদন

অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের মন খারাপ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ‘আগে ঈদের সময়গুলো বন্ধু, কাজিনদের নিয়ে হইচই করে ঘুরে বেড়াতাম। আড্ডা দিতাম। অনেক সময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতাম আর চিল্লাচিল্লি করতাম। এখন গেলেও ভদ্র মেয়ের মতো চুপচাপ বসে থাকি। লাফালাফি করলে কে আবার ভিডিও করে ভাইরাল করবে। সেটা দেখে অনেকে বলবে, নায়িকা হয়ে হাসছে, লাফাচ্ছে।’ কথাগুলো বলেই হাসতে থাকেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী কেয়া পায়েল।

পরিচিতির কারণে এখন সেভাবে বাইরে ঘুরতে পারেন না। তারপরও বিধিনিষেধের আগে ইচ্ছামতো সময়গুলো কাটানোর চেষ্টা করেছেন। এখন বাসায় নিজের নাটকগুলো দেখছেন। পায়েল বলেন, ‘ঈদ নিয়ে এখন আর আগের মতো উৎসব–উৎসব ভাব পাই না। আগে পরিকল্পনা করে শপিং করতাম। ঈদের সাত দিন পেরিয়ে গেলেও ঈদ ফুরাত না। বন্ধু আর কাজিনদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। এখনো আড্ডা হয়। কিন্তু অভিনয়ের জন্য নিজের স্বাধীনতা কমে গেছে। বিরতিতে চেষ্টা করছি নিজের মতো করে সময় কাটানোর।’

ঈদে পায়েলের ২০টি নাটক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচারিত হচ্ছে। তাঁর অভিনীত রাফাত মজুমদারের ‘স্বপ্নের নায়িকা’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘শুভ প্লাস নিলা’, মাহমুদুর রহমানের ‘কাবিননামা’সহ একাধিক নাটক উল্লেখযোগ্য। এখনো বেশ কিছু নাটক মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দর্শক আমাকে চিনছেন, আমার নাটক দেখে মন্তব্য ও সমালোচনা করছেন, এগুলোই বড় পাওয়া। আমি যদি একটুও খ্যাতি পেয়ে থাকি, সেটা ধরে রাখাই আমার কাছে বড় কথা। আমি নিয়মিত অভিনয় শিখছি। এই শেখা আমি সব সময় চালিয়ে যেতে চাই।’

এবার ঈদের নাটক নিয়ে পায়েলের মন খারাপ। অনেকগুলো কাজে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কিছু নাটকের শুটিং করতে পারেননি। তা ছাড়া শুটিং হাউসের বাইরে বা রাস্তায় শুটিং করতে হবে, এমন গল্পে নাম লেখাননি তিনি। পায়েল বলেন, ‘এবার ঈদুল ফিতরের চেয়ে বেশি নাটক মুক্তির সম্ভাবনা ছিল। বিধিনিষেধে বেশ কিছু কাজ হলো না। তা ছাড়া তৌসিফ ভাইয়ের করোনা হলো। এ ছাড়া বাইরে অনেক ভালো কিছু গল্পের চিত্রনাট্য ছিল, সেগুলো করোনা সতর্কতার কারণে করতে রাজি হইনি। সেসব গল্পের জন্য আফসোস হচ্ছে। তবে ঈদের পর এগুলোর শুটিং করব।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close