ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির অন্যতম সেরা অবদান মোবাইল। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া জীবন চিন্তা করা প্রায়ই অসম্ভব। জীবনের প্রায় প্রতিটি জায়গায় কোনো না কোনোভাবে মোবাইল জড়িত।
আর এমন প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সময়েও মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণায় আটকে রয়েছে ভারতের কিছু কিছু অঞ্চল। সে রকমই একটি জায়গা হলো গুজরাটের বানাসকান্থার দান্তিওয়াড়া।
সম্প্রতি এই এলাকায় ১২টি গ্রামের ঠাকুর সম্প্রদায়ের লোকজন পঞ্চায়েত বৈঠকে মাধ্যমে একটি আইন তৈরি করেছে। আর আইনটি হলো এই এলাকায় কোনো অবিবাহিত মেয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, কোনো অবিবাহিত মেয়ে এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। গত রোববার থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
খবরে আরো বলা হয়, ওই গ্রামে কোনো অবিবাহিত মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করলে শাস্তি হিসেবে তার বাবাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এ ছাড়া বিয়ের সময় ডিজে পার্টি বা বহু টাকার বাজি পোড়ানোও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করতেই এই নির্দেশনা।
বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনো মেয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই নিয়মগুলোকে গ্রামের লোক তাদের সংবিধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ওই সম্প্রদায়ের নেতা সুরেশ ঠাকুর বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই কারণে যে, তারা যেন মোবাইল ফোনে বেশি সময় নষ্ট করতে না পারে। আর সেই পরিবর্তে অধিক সময় যেন তারা পড়া লেখায় মন দিতে পারে।’
সুরেশ আরো বলেন, মোবাইল নিষিদ্ধ হলেও এলাকার মেয়েরা উন্নত পড়াশুনার জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবে।