প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
অবশেষে সামনে এল ফাহিম সালেহ হত্যার রহস্য
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ খুব কম সময়েই প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছিলেন পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সাহেহ। নিজের সৃজনশীলতা আর কঠোর পরিশ্রমের কারণে নজর কেড়েছেন অনেক মানুষের। তবে এতকিছুর পরও প্রতিহিংসারর কাছে হার মানতে হল তাকে।
গত সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ। অনেক পেশাদারভাবে তাকে খুন করা হলেও অবশেষে সামনে এল ফাহিম সালেহ হত্যার রহস্য।
জানা গেছে, ফাহিম সালেহকে হত্যা করে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিল।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ফাহিমের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করেন হাসপিল। ফাহিম এক সময় এ ব্যাপারে জানতে পারেন। তবে তিনি পুলিশকে না জানিয়ে বরং সহকারী হাসপিলকে অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেন। তারপরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
প্রতিবেদনে আরো জানা গেছে, ফাহিমকে খুন করা হয়েছে সোমবার। আর ম্যানহাটনে ২২ লাখ ডলারে কেনা তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে মরদেহ পাওয়া গেছে পরদিন মঙ্গলবার। পরের দিন হত্যাকারী আবার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে মরদেহ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ডে করে এবং স্থানটি পরিষ্কার করে। লিফটের ভেতরে থাকা ক্যামেরায় দেখা গেছে, হত্যাকারী তার অবস্থানের চিহ্ন মুছতে ব্যাটারিচালিত একটি পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করেছেন। জানা গেছে, ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই হত্যার স্থান পরিষ্কার করার জন্য উপকরণ কেনেন হত্যাকারী হাসপিল।
/এন এইচ