দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
অবশেষে সরকারের সবুজ সংকেত পেল গ্লোব বায়োটেক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অবশেষে সরকারের সবুজ সংকেত পেল গ্লোব বায়োটেক। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে দেশে আবিষ্কৃত এই ভ্যাকসিনকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টা নাগাদ সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকসহ প্রতিনিধি দলকে গ্লোবের তৈরি ভ্যাকসিনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
প্রয়োজনে পরবর্তী ধাপে যুক্ত হবে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। এছাড়া ব্যানকোভিডের নাম বঙ্গভ্যাক রাখারও প্রস্তাব দেন সচিব।
দেরিতে হলেও দেশীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের দাবিদার গ্লোব বায়োটেক পরিদর্শনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের দল।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান জানান, গোটা দেশকে টিকার আওতায় আনতে দেশীয় ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই।
তিনি জানান, আমদানি করা ৩ কোটি ডোজ আমরা দেড় কোটি মানুষকে দিতে পারবো। এর বাইরে আমাদের প্রচুর জনসংখ্যা পড়ে রয়েছে। এদের সবাইকে যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিব, তখন দেশের ভ্যাকসিনের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে। যত দ্রুত এবিষয়ে দেশের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, আমরা নিব।
এদিকে, নিয়ম মেনে কাজ করলে পরবর্তী প্রতিটি ধাপেই পাশে থাকবে সরকার। প্রয়োজনে সার্বিক সহায়তায় থাকবে আইইডিসিআর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, ভ্যাকসিন তৈরির জন্য নিয়মতান্ত্রিক কাজগুলো তাদের করতেই হবে। সেটা করার ক্ষেত্রে তাদের যেসব সহযোগিতা করা প্রয়োজন হবে, আমরা অবশ্যই করবো।
তবে ব্যানকোভিডের নাম বদলে বঙ্গভ্যাক করার প্রস্তাব দেন তারা। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, দেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা সারাবিশ্বে এটির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভ্যাক দেবে।
তবে নিরাপত্তা ও কোয়ালিটির সঙ্গে কমপ্রোমাইস করে আমরা কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করবো না বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
/এন এইচ