চাকুরী
অফিসে খাটো স্কার্ট পড়ে আসলেই পাবেন বাড়তি বোনাস!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: কর্মস্থলে নারী কর্মীরা স্কার্ট পড়ে আসলেই পাবেন অতিরিক্ত বোনাস। অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে রাশিয়ার একটি কোম্পানি।
তবে এ নিয়ে রীতিমত তোপের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি।বোনাস হিসেবে নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে নারী কর্মীদের।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচিত্র এই তথ্য।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির ‘ফেমিনিটি ম্যারাথন’ প্রচারণা চালাবে। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী কর্মীদের স্কার্ট বা এ ধরনের পোশাক পরে অফিসে আসতে উদ্বুদ্ধ করা।
টেটপ্রফ কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব নারী কর্মী স্কার্ট পড়বে তাদের তারা নিয়মিত বেতনের বাইরে ১০০ রুবল বা দেড় মার্কিন ডলার করে অতিরিক্ত অর্থ দেবে। স্কার্ট বলতে কোম্পানিটি বলছে, হাঁটু থেকে পাঁচ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা নয়, এমন পোশাক।
জানা যায়, শুধু স্কার্ট পরে অফিসে আসলেই বোনাস পাবেন না নারী কর্মীরা। যদি বোনাস পেতে চান তবে অফিসে এসে নিজের একটি ছবি তুলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে।
রাশিয়ান নারীবাদী ব্লগার ও সাংবাদিক জ্যালিনা মারশেঙ্কুলভা বিবিসির প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, রাশিয়ান এই কোম্পানিটি ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ও ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মালামাল সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। কোম্পানিটি নারীদের বাজেভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
টেটপ্রফ-এর মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির প্রায় ৭০ ভাগই পুরুষ। এখানে অনেক নারীই ট্রাউজার পরে আসেন। আশা করছি আমাদের প্রচারণা নারীদের মধ্যে সচেতনতা আনবে, যাতে করে তারা তাদের নারীত্বকে উপভোগ করতে পারে।’
রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রচলন খুব কম। তারপরেও যারা আছেন, তাদের অনেকেই টুইটারে এর সমালোচনা করছেন।
টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘খাটো স্কার্ট পরার জন্য ১০০ রুবল বোনাস পেতে যিনি আসবেন, তিনি পুরুষ নিয়ন্ত্রিত টিমকে উজ্জ্বল করবেন।’
এদিকে কোম্পানির মুখপাত্র দাবি করছেন, এই প্রচারণার ফলে কোম্পানিতে কাজ করার সময় মেয়েরা তাদের মতো করেই অফিস করতে পারবে। মেয়েদের ছেলেদের মতো হেয়ার কাটের বা পোশাক পড়ার দরকার নেই। তাদের যা ইচ্ছে সেটাই পরবে তারা।