জীবন-যাপন
অনেক পেশা মিথ্যা বলাতেই টিকে আছেঃ গবেষণা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিথ্যা বলাকে সবসময়ই নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়। তবে কখনো কখনো মিথ্যা বলাকেও বড় যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। কেননা কাউকে আঘাত না দিয়ে একটু মিথ্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া কিন্তু মন্দ নয়। অথবা ছোটখাটো মিথ্যা বলে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও কখনো কখনো মিথ্যা বলতে হয়। এটা কাজের একটি পদ্ধতি। নিজের গুণাগুণকে বাড়িয়ে তোলার একটি কৌশল। এটি করতে না পারলে কর্মীর কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই যে যত গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারে, তার দক্ষতা তত বেশি ধরা হয়।
একবার বিমানবালাদের কথা ভাবুন, বিমান ভ্রমণে প্রবল ঝড়-তুফানের সতর্কতা জানান নরম সুরে হাসি হাসি মুখে। এটাও এক ধরনের মিথ্যা। যাত্রী যাতে অহেতুক চিন্তা না করেন, তার জন্য এ কৌশল নিতে হয়। এমন অনেক পেশা আছে, যা মিথ্যা বলার উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক পেশা মিথ্যা বলার কারণেই টিকে আছে। তবে তা প্রকাশের ধরন আলাদা। পেশাদার কোন সংস্থাকে দিয়ে কোন চাকরিপ্রার্থী সিভি তৈরি করালে সেখানেও মিথ্যা থাকতে পারে। এ মিথ্যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাছে কর্মীকে যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, যাদের কল্পনাশক্তি অত্যন্ত প্রবল; তাদের মধ্যে মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে। কারণ তিনি কল্পনার সাহায্যে যখন কিছু বর্ণনা করেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল না-ও থাকতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা সৃজনশীল পেশায় বিশেষ সফলতা পান। তাদের কল্পনাশক্তি অনেক কিছুর জন্ম দেয়। এটিও মিথ্যা বলারই একটি নমুনা।
আবার বিভিন্ন সময়ে দুরারোগ্য ব্যাধির রিপোর্ট সরাসরি রোগী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়কে শোনাতে চান না চিকিৎসক। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, ‘খারাপ কিছু নয়, ভালোই রিপোর্ট এসেছে।’ এটা তিনি করেন রোগীর মনোবল ধরে রাখার জন্য। আদতে এটিও তো মিথ্যা।
আসলে আমরা কমবেশি সবাই মিথ্যা বলি। এ ধরনের মিথ্যায় বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয় না। তাই বলা যায়, এতে তেমন কোন দোষ নেই।