দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

অনলাইনে দেয়া যাবে জমির খাজনাঃ ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ডিজিটালাইজ হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম। বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে চারটি জেলায় পাইলটিং হিসেবে চালু করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এটি সারাদেশে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার ‘হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইন ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (১ম পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি সংস্কার বোর্ড এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

এ সময় ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রয়াসে ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের দূরদর্শী উদ্যোগের ফসল হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করেছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহৎ সংখ্যক ভূমিসেবা গ্রহীতাদের স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময়ে ও হয়রানি মুক্তভাবে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আবহমান কাল থেকে প্রচলিত বিধি-বিধানের আলোকে চালুকৃত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় পদ্ধতি ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে।

মৌজা রেট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত ব্যাপার মূলত আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরব। আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ সারাদেশে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু করতে পারবো।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি রাজস্ব আদায়ের পাইলটিং কার্যক্রম চালানোর জন্য নির্বাচিত ভূমি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারসহ মামলা সম্পর্কিত তিনটি সফটওয়্যারের পাইলটিং এর জন্য প্রথম পর্যায়ে ৮ জেলার ৯ উপজেলার ৯টি পৌর/ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত ১৯টি মৌজা নির্বাচন করা হয়েছে।

এরমধ্যে ৫টি পৌর ভূমি অফিসের অন্তর্গত ১৩টি মৌজা হচ্ছে- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও দক্ষিণ মতলব উপজেলার অন্তর্গত মিরপুর, গুদারারচর, নোয়াগাঁও, রুদ্রগাঁও, ভাটিরগাঁও, চরহোগলা, মোবারকদি ও ১৭৬নং ঢাকিরগাঁও মৌজা, মানিকগঞ্জ সদরের বনগ্রাম চক ও গঙ্গাধর পট্টি মৌজা, কিশোরগঞ্জ সদরের করমূলী ও মারিয়া মৌজা এবং জামালপুর সদরের সাতপাকিয়া মৌজা।

৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত ৬টি মৌজা হচ্ছে- গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের অন্তর্গত টুঙ্গীপাড়া মৌজা, ঢাকার সাভার উপজেলার বাগধনিয়া ইউনিয়নের মজিদপুর ও আনন্দপুর মৌজা, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাধীন খাসখামা ইউনিয়নের হাইলধর ও মালঘর মৌজা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ইউনিয়নের ‘দেওভোগ ‘ম’ খন্ড’ মৌজা।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close