আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য
অনলাইনে কার্গো ম্যানিফেস্ট চালু হচ্ছে ১ জুলাই
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আগামী ১ জুলাই অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আগাম কার্গো বিবরণ বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করতে হবে; যা শিপিং এজেন্টস এবং এয়ারলাইনস কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা কাস্টমস হাউজে দাখিল করবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক কাস্টমস সংগঠনের সুপারিশ ক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে যাচ্ছে।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পণ্য খালাস-সংক্রান্ত অনেক কার্যক্রম বন্দরে পণ্য আগমনের আগে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। ঝুঁকি পর্যালোচনা করে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন চ্যানেল নির্ধারণ করে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে পারবে। এতে ইয়েলো লাইনে আওতাভুক্ত জাহাজ আগমনের সঙ্গে সঙ্গে খালাস করতে পারবে। ফলে কাস্টমস, বন্দর, আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের সঠিক ও নির্ভুল কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে। ফলে আগের চেয়ে আরও গতিশীল হবে বৈদেশিক বাণিজ্য।
বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আগাম কার্গো বিবরণ অনলাইনে দাখিল চালু হলে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাস করা যাবে। এতে বন্দরের জাহাজজট, কনটেইনারজট কমবে। পাশাপাশি জাহাজের গড় অবস্থানকালও কমবে। ফলে আমাদের অপ্রত্যাশিত পোর্ট ডেমারেজ কমানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যয়ও কমবে। গতিশীল হবে শিল্প ও বাণিজ্য।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, বিদ্যমান কাস্টমস আইনানুসারে জাহাজ নোঙর ফেলার ২৪ ঘণ্টা আগে এবং উড়োজাহাজ আগমনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেনিফেস্ট দাখিল করা বাধ্যতামূলক রয়েছে; যা তথ্য ও প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে সময় অনেক অপচয় হয়। আর ব্যবসায়ীরা ডুয়িং বিজনেস কস্ট কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আধুনিক কাস্টমস ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে আগামী ১ জুলাই থেকে জাহাজ ও উড়োজাহাজ সর্বশেষ বন্দর ত্যাগ করার আগে মেনিফেস্ট অনলাইনে দাখিল করতে হবে; যা বিদ্যমান আইন অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।