দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
অতিরিক্ত ১৯ টাকা ভাড়া নিয়ে জরিমানা গুণতে হলো
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও ১৯ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে গাবতলী থেকে মাওয়া রুটে চলাচলকারী বসুমতি পরিবহনকে।
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।
ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও অনেক বাসে বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে তারা অজুহাত দেখাচ্ছেন ‘ওয়েবিল’ নামক এক মনগড়া পদ্ধতির।
জানা যায়, মাওয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৯৬ টাকা। কিন্তু বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে সেই ভাড়া আদায় করা হয়েছে ১১৫ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এমন চিত্র দেখতে পান ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. সঞ্জিব দাস।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে বসুমতি পরিবহনের চালকের সহকারীর কাছে ব্যাখ্যা চান তিনি। চালকের সহকারী রুবেল মিয়া জানান, তিনি বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন না। তিনি ভাড়া আদায় করছেন ওয়েবিল পদ্ধতিতে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রুবেল মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দাস বলেন, ‘সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ডিজেল চালিত গণপরিবহনে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে পরিবহনগুলো ডিজেল চালিত না, তারা বেশি ভাড়া আদায় করছে। পাশাপাশি ডিজেলচালিত গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
ভাড়া বেশি নেওয়া অভিযোগের প্রমাণ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরটিএ যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে এই ভাড়া বেশি নিলেই আমরা বিআরটিএর ৮০ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। অভিযানের প্রথম ঘন্টায় ৭ গাড়িকে মামলা দিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
এদিকে সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকার নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের দায়ে সাতটি বাসকে ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে রুট পারমিট ও ফিটনেস না থাকায় দুইটি বাসকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়।
এছাড়া বাড়তি ভাড়ার পাশাপাশি গাড়ির ফিটনেস ও অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে উভয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে।
এদিকে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে চলচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যায়। পুরান ঢাকা থেকে শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন রুটে চলা ও মিরপুর মোহাম্মদপুর থেকে শাহবাগ হয়ে চলাচলকারী বাস চলাচল স্থবির হয়ে পরে।